Saturday, April 4, 2009


আগাস্টে …


ওইখান দিয়ে
ওরা তো যায়
ওদের নিয়ে
গড়িয়াহাট ধর্মতলা
গড়িয়াহাট ধর্মতলা

স্তনবৃন্তে,
নিকারাগুয়া
বিলবোর্ড রয়েছে মুখচেয়ে
দ্রুত দৃষ্টিবিনিময়ে বলবে কথা
কখনও বা স্হগিত
কখনও অধরা সে কথাবলা ।।

পাথর, ঈশ্বর ।
মূর্তি, বাসস্ট্যান্ড ।

ই-মেল কাঁধে,
জিভের শীর্ষে ইথার ছুঁয়ে
ছুটে যাচ্ছে ধ্রুপদী ডাকহরকরা

বাকি কিছু নেই আর
উঠোনের কাছে, অনন্ত কুয়ার জলে
প্রিপেড রশ্মি নিয়ে
দাড়িয়ে চাঁদ, হাতে রিফ্লেকটার ।

Ramp walk - এ ব্যস্ত প্রতীক্ষাগুলো সব
দুয়ার এটে একা আমি
রাত্রি বড় সমকামী
এখনও যে বাকি,
আগামী আগাস্টে তোমার হাতধরা ।।

সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায়
চৈত্র ১৪১৬

Sunday, February 22, 2009


কামসূত্র


আজকাল অনেক কিছুই হয়
অনেক কিছুই
তবে সে সব আগে
ভাবা যে যেত না এমনটা কিন্তু নয়
তবুও,
বহু অনুমান
হ্রিত,
রয়েছে প্রমাণ ।
সেখানেই মৃদুমন্দ বিস্ময় ।

দেখ শৃঙ্গারী,
দাম্পত্য আজ নতুন সংজ্ঞায় এলোকেশী
Condom থাকেনা বা থাকে work pressure
পাঁজিতে অলিপিবদ্ধ : সেদিন যৌনতার একাদশী ।।

গাণিতিক



ভারত
ইতিহাস
নোটস, গাইডবই, লাস্টমিনিট
বড় প্রশ্ন
শর্ট নোটস : থাকতে পারে মাৎস্যন্যায়
আসবেই ফা-হিয়েন ।।


খুন, ধর্ষণ
জমি বাদ
প্রতি মোম অধি
বাতি গ্রহণ
ব্রেকিং নিউজ : মোবাইলে ধরা পড়েছে
মর্ত্যমুখী এলিয়েন ।।
মেটামর্ফোসিস


অগ্রিম খবর থাকে না
--- আমরা তো সকলেই সমাপ্তি প্রার্থী --
অনেক কিছু পাল্টে যায়
হঠাৎ,
অনেক কিছুই পাল্টে যায়

সূর্য ভাঙলে
অপার বিস্ময়

ছাই হয় না আর

Orkut Profile হয়ে যায়

Scrap আসে
মাঝে সাঝে,
Scrap পাঠায় ।


বোঝেনা,
বোঝো না
মানুষ মৃত হলে
মানুষ থাকে না,
‘বডি’ হয়ে যায়?

Saturday, February 21, 2009


ক্যানভাস : ১৯৫২ - ২০০৯


একটা নদী
বৃক্ষ সারি সারি
পাশে মাঠ
পশ্চাৎপট, পাহাড়ি --

ঘষে প্যাস্টেল
ওঠে সূর্য
ঠোঁটের কোণে
রণতূর্য ।।


মুখে ভাষা
হাতে,
আবহমান গোলাপ
মিশে যায় সূত্রপাত -
কক্সবাজারে সন্ধ্যায়
বা
এসপ্ল্যানেড মেট্রোয়
কোথাও একটা শুরু
সেই ইতিহাস বিভোর আলাপ ।।



একটা ভাষা
একটা নদী
দু’ধারে মানুষ সারি সারি -

ঘষে আকাশ
ভরে যায় পাতা
হৃৎস্পন্দনে
একুশে ফেব্রুয়ারী ।।



-- সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায়
মাঘ ২০০৯

বর্জ্যভূমি

Porque ese cielo azul que todos vemas ,
Ni es cielo ni es azul. Lastima grande
Que no sea verdad tanta bellaza!
- Bartolome Leonardo De Argensola




১ । মৃতেরা

এখনও নামেনি রজনী
এখনও পথে নামেনি কেউ

এখনও পড়ছে জল
এখনও নড়ছে পাতা
শয্যায় একাকী
প্রতীক্ষায় দোসর
রাধা এবং কলকাতা

এখানে তুষারপাত নেই
মাসের নিষ্ঠুরতা অবর্তমান
সাঁঝবেলায় গ্রথিত শুধু ধূম্র গর্ভপাত
কিছু বৈদ্যুতিন অভিমান

ঊরুসন্ধি সতত ঊষ্ণ এখানে
মাঝে মাঝে দরজায়
কে কড়া নেড়ে যায়
কে ডাকে ‘বাড়ি আছ’ বলে, কে জানে!



২ । অগ্নিবিন্যাস

জল পড়ছে
নড়ছে পাতা

দুয়ারে,

যোনি-প্রার্থী কলকাতা
আষ্ঠেপৃষ্ঠে দৃষ্টি,
আয়নায় বাঁধা
শরীর অন্যত্র ; শয্যায়
ঊরু মন্হনে রত রাধা ।।



৩ । সাদায় কালোয়

দূরভাষ-যোনি
আর্দ্র,
নিঃশ্বাসের গন্ধে
অথবা
ওঠে ঘেমে
জানি, ফুচকা খেতে কেউ দাড়ায় ফুটপাথে
আর কেউ, রাস্তায় নেমে ।।



৪ । মৃত্যু, জলে

উত্তর-অবয়বে গাছ হয়ে যায় তারা
আর তারারা বৃক্ষ সব
তোমার শুরু আমি জানি, জানিনা কোথায় আমার সারা
এখনও নামেনি রজনী, হরফে নিদ্রিত ‘পাখি সব করে রব ’ ।।



৫ । বজ্রকথা

শব্দ ব্রহ্ম
শব্দ একামেবাদ্বিতীয়ম ; আমি শুধু সেই শব্দই শুনি
কমোডে বসে,
নিষ্কাশনের প্রপাতধ্বনি ।।









বিস্তার

পদ্যটি একটি নিষ্কাশন । নিষ্কাশন বহুমুখী - অশ্রু, ঘাম, বমন, মূত্র, মল, হস্তমৈথূন, মৈথূন, পর্দন ইত্যাদি । এই বহুমুখী নিষ্কাসন সার্বভৌম ।

প্রারম্ভিক উক্তিটি স্প্যানিস্ । অর্থ -- ‘ যে নীল স্বর্গ আমাদের প্রত্যেক’কে মোহিত করে, আসলে তা নীলও না স্বর্গও না । আহা কি লজ্জা ! এই অসম্ভব সুন্দরও এত অসত্য ! ’